উপরের গদ্যাংশটি থেকে কমপক্ষে দুটি করে সমাস, উপসর্গ ও প্রত্যয়ের মাধ্যমে গঠিত শব্দ শনাক্ত করো। ১ম কলামে শব্দ লিখবে, ২য় কলামে শব্দটিকে ভাঙবে এবং ৩য় কলামে শব্দটি কীভাবে গঠিত তা লিখবে। লেখা হয়ে গেলে সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করো এবং প্রয়োজনে সংশোধন করো। তিন ধরনের গঠিত শব্দের একটি করে উদাহরণ দেখানো হলো।
গঠিত শব্দ | শব্দটি ভাঙলে যেমন হবে | কীভাবে গঠিত |
সমাজজীবন | সমাজ+জীবন | সমাসের মাধ্যমে |
সম্প্রসারণ | সম্+প্রসারণ | উপসর্গের মাধ্যমে |
সামাজিক | সমাজ+ইক | প্রত্যয়ের মাধ্যমে |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
বাংলা ভাষায় শব্দগঠনের প্রধান উপায় তিনটি: সমাস, উপসর্গ এবং প্রত্যয়।
সমাস শব্দগঠনের একটি প্রক্রিয়া। দুটি শব্দ মিলে যখন একটি শব্দে পরিণত হয়, তখন তাকে সমাস বলে। সমাসের মাধ্যমে গঠিত শব্দের নমুনা: মা+বাবা-মা-বাবা; সিংহ+আসন-সিংহাসন;
ঘি+ভাজা=ঘিয়েভাজা; নীল+পদ্ম = নীলপদ্ম; অরুণ+রাঙা=অরুণরাঙা; রাজা+পথ =রাজপথ।
সমাসের মাধ্যমে গঠিত শব্দকে বলা হয় সমস্তপদ। উপরের উদাহরণগুলোতে মা-বাবা, সিংহাসন, ঘিয়েভাজা, নীলপদ্ম, অরুণরাঙা ও রাজপথ-এগুলো সমস্তপদ। সমস্তপদের দুটি অংশ-পূর্বপদ ও পরপদ। এখানে মা, সিংহ, ঘি, নীল, অরুণ, রাজা হলো পূর্বপদ এবং বাবা, আসন, ভাজা, পদ্ম, রাঙা, পথ হলো পরপদ।
সমাস-সাধিত শব্দকে ব্যাখ্যা করা হয় যে শব্দগুচ্ছ দিয়ে তাকে বলা হয় ব্যাসবাক্য। যেমন: 'মা-বাবা'র ব্যাসবাক্য-মা ও বাবা, 'সিংহাসন' শব্দের ব্যাসবাক্য-সিংহ চিহ্নিত আসন, 'ঘিয়েভাজা' শব্দের ব্যাসবাক্য ঘিয়ে ভাজা, 'নীলপদ্ম' শব্দের ব্যাসবাক্য-নীল যে পদ্ম, 'অরুণরাঙা' শব্দের ব্যাসবাক্য- অরুণের মতো রাঙা, 'রাজপথ' শব্দের ব্যাসবাক্য-পথের রাজা।
নিচে কিছু সমাস-সাধিত শব্দের নমুনা দেওয়া হলো:
আরও দেখুন...